Wellcome to National Portal
Main Comtent Skiped

১০ অক্টোবর হতে ০৯ নভেম্বর জাতীয় ইঁদুর দমন অভিযান ২০২৪ “ছাত্র-শিক্ষক-কৃষক ভাই  ইঁদুর দমনে সহযোগিতা চাই”


At a Glance

ভূমিকা

একদিকে পাহাড়, অন্যদিকে সমুদ্র পরিবেষ্টিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও নানা বৈচিত্রে পরিপূর্ণ চট্টগ্রাম অঞ্চল ও অঞ্চলের কৃষি। বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের দিক দিয়ে এ অঞ্চল বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চল অপেক্ষা ভিন্নতর। বনভূমি ও পাহাড় এ অঞ্চলের কৃষি বৈশিষ্ট্যকে আরো ভিন্নতা দান করেছে। চট্টগ্রাম কৃষি অঞ্চল ৫টি জেলা, ৪২টি উপজেলা ও ৩টি মেট্টোথানার সমন্বয়ে গঠিত। অঞ্চলের আয়তন ১৪ হাজার ৪ শত ২৩ দশমিক ২২ বর্গ কিলোমিটার এবং এখানে প্রায় ১ কোটি ৮৬ লক্ষ ৮৮ হাজার ২ শত ৪৪ জন মানুষ বসবাস করে। অঞ্চলের উপর দিয়ে প্রবাহমান প্রধান প্রধান নদী হচ্ছে কর্ণফুলী, মুহুরী, ফেনী, হালদা, সাংগু, মাতামুহুরী, বাঁকখালী ও ইছামতি।

অত্র অঞ্চলের প্রধান ফসল ধান। এছাড়া অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ফসল হচ্ছে চা, ভূট্টা, গোলআলু, বাদাম, তরমুজ, সয়াবিন এবং বিভিন্ন ফলমূল ও শাকসব্জী। এ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা ২০১%। ফেনী ও কক্সবাজার জেলা মূলত ধান উৎপাদন এলাকা। নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার বাদাম, সয়াবিন, তরমুজ, ঢ়েঁড়শ, নারিকেল, সুপারি এবং চট্টগ্রামের সীম ও হাটহাজারী, সীতাকুন্ড, মিরশ্বরাই, পটিয়া, চন্দনাইশ ও বাঁশখালী উপজেলায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে শীতকালীন ও গ্রীষ্মকালীন শাকসব্জীর চাষাবাদ এ অঞ্চলের কৃষিকে মর্যাদা দান করেছে। ফেলন চট্টগ্রাম অঞ্চলের একটি সম্ভাবনাময় ডাল ফসল যা অল্প খরচে এবং বিনা যত্নে প্রতিকূল অবস্থায় আবাদ করা যায়। চট্টগ্রাম জেলার পাহাড়ী অঞ্চল এবং নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার বিস্তৃর্ণ চরাঞ্চলে প্রচূর পরিমাণে শাকসব্জী, ডাল ও মসলা জাতীয় ফসলের উৎপাদন হচ্ছে। তাছাড়া বর্তমানে পাহাড়ী অঞ্চলে বিভিন্ন রকমের ফল ফলাদির আবাদ উন্নয়নের ব্যাপক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ উপজেলার কাঞ্চন নগরে উন্নতমানের পেয়ারা এবং বাঁশখালী উপজেলায় প্রচুর লিচু উৎপাদন হয়। তাছাড়া চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার জেলার পাহাড়ী এলাকায় বনজ সম্পদের পাশাপাশি রয়েছে চা ও রাবার বাগান।

অত্র অঞ্চলাধীন চট্টগ্রাম জেলা ব্যাতীত অন্যান্য জেলায় খাদ্য উদ্বৃত্ত থাকে। বাংলাদেশের বানিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম শহরে অতিরিক্ত প্রায় ৬০ লক্ষ মানুষের বসবাস এবং তাদের অন্ন যোগান দিতে গিয়ে চট্টগ্রাম অঞ্চল খাদ্যে ঘাটতি জেলা।

অঞ্চলে তিন মৌসুমেই ধানের চাষ হয়। নোয়াখালী জেলার নীচু এলাকা, সন্ধীপ ও হাতিয়া দ্বীপ ব্যাতীত অঞ্চলাধীন সকল জেলায় হাইব্রিড ও উফশী জাতের আবাদ সন্তোষজনক।

পাহাড়ী এলাকায় সেচ সুবিধা কম। বর্তমানে কক্সবাজার জেলার বাঁকখালী ও চট্টগ্রাম জেলার টংকাবতী রাবার ড্যাম, হালদা রাবার ড্যাম প্রকল্প এবং ফেনী জেলার মুহুরী সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে সেচ এলাকা বৃদ্ধি পাওয়ায় ফসলের আবাদ বৃদ্ধির সাথে সাথে মোট উৎপাদনে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

নতুন প্রযুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে কৃষি ও কৃষকের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর ও বিভিন্ন কৃষি গবেষণা সংস্থা অক্লান্ত প্রচেষ্টা চালিয়ে যচ্ছে। আশা করা যায় আধুনিক প্রযুক্তি ও উন্নত কলা-কৌশল প্রয়োগ করে অদূর ভবিষ্যতে খাদ্য শস্য উৎপাদনসহ পুষ্টির ঘাটতি পূরণে এ অঞ্চলের কৃষি স্বয়ং সম্পূর্ণতা অর্জন করবে।

===== ##### =====

Video & Map

Others Video